সংখ্যালোচনা
- বশির আহমদ জুয়েল - ইদানিং আমি ও আমার কবিতা ১৭-০৫-২০২৪

এক.
আনন্দভাগ তোমাকে দেবো বলে আমি তোমার কাছে এসেছি। অথচ তুমি মুখটা রেখেছো গুমরা করে। বলা যায় বাংলা পাঁচের ন্যায়। ভাবছো এতো সংখ্যার মাঝে পাঁচ কেনো প্রিয় আমার। জানি জবাবটা তোমারো জানা আছে। আরো একটি সংখ্যার সাথে আমার বেশ পরিচয় আছে। যে সংখ্যাটি তুমি আর তোমরাই কেবল বয়ে বেড়াও।

দুই.
সংখ্যাটি নিয়ে এতো না ভাবাই মঙ্গল। আমি আর তুমি একাকার হয়েই তো আমরা হতে পারি। কী সুন্দরভাবে সংখ্যারা কমে আসে। নত হয়ে প্রভু মানে আমাদের। ঠিক এ রকমভাবেই নত হয়েছি বহুবার আমি তোমার বয়ে বেড়ানো সংখ্যাটির কাছে। আমার প্রিয় সংখ্যাটির অত্যাচারে বা ছোঁয়ায় তুমি হয়েছো অভিভূত। কখনো-কখনো উপহার দিয়েছো বিরক্তির নিশ্বাস। তারপরও এই আমি বার বার ফিরে এসেছি তোমারই কাছে।

তিন.
আমাকে কবি ভেবে দূরে থাকাটা আজ বেমানান। কেননা আমি তোমাকে নিয়ে কোনো কবিতা লিখছি না। এমন কী কোনো প্রয়োজন আছে বলেও মনে করছি না। কবিতার অনেক শিরোনাম আমি নিজেও ভুলে আছি। বরং ভুলতে পারিনি অনেক কবিতার কিছু উপমা। তোমার আসন পাকা হয়ে আছে আমার প্রতিটি কবিতায় ঠিক সেভাবেই।

চার.
গতকাল সন্ধায় পশ্চিমাকাশে উদিত বাঁকা চাঁদের মতো এবার একটু হাসো। বিশ্বাস করো আজ কোনো অত্যাচার হবে না তোমার সংখাটির উপর। আমার প্রিয় সংখ্যাটি আজ শান্ত হয়ে কেবল তোমার হাসিটুকু নিয়ে ফিরে যেতে চায় নিজ আঙিনায়।

পাঁচ.
ধাঁধার মতো করে তোমাকে নিয়ে কেবল লিখেই ছুটছি। এবার অন্তত একবার নীড়ে আসো। তোমার-আমার কাছাকাছি দূরত্বের অবসান হোক। ঠিক সেভাবে আমাদের ভালোবাসা যেভাবে পুলকিত হয়। আর নয় সংখ্যালোচনা। কাল থেকে নয় এখন থেকেই তুমি আর আমি এক হয়ে অবাক করে দিই বিশ্বটাকে।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।